রহমত নিউজ 28 January, 2025 09:29 AM
কর্মবিরতিতে গিয়েছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান না হওয়ায় এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১২টার পর শিডিউলে থাকা ট্রেনগুলোতে ওঠেননি রানিং স্টাফরা। ফলে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। ট্রেন চালক, গার্ড ও টিকিট চেকার পদধারীরা রয়েছেন রানিং স্টাফের মধ্যে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ১২টার পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান।
সোমবার রাতে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বশীল একজন জানিয়েছেন, রাত ১২টার আগের যেসব ট্রেন ছেড়ে যায়নি সেগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। তবে রাত ১২টার পরের শিডিউলের কোনো ট্রেন ছেড়ে যাবে না।
রানিং স্টাফরা জানিয়েছেন, আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত যেসব ট্রেন প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে, সেসব ট্রেনের প্রতিটি যাত্রীকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানো হবে। তবে ওই ট্রেনগুলো গন্তব্য স্টেশনে পৌঁছানোর পর রানিং স্টাফরা কর্মবিরতিতে যাবেন। ফলে কর্মবিরতি রাত ১২টায় শুরু হলেও লাইনে থাকা কোনো ট্রেন যাত্রা বিরতি থাকা স্টেশন ছাড়া অন্য কোথাও না দাঁড়িয়ে গন্তব্য স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছাবে।
মাইলেজ বিলের দাবি পূরণ না হওয়ায় কর্মবিরতিতে যান রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। রেলের আন্দোলনরত কর্মীরা জানান, চলতি ট্রেনের কর্মীদের জরুরি স্টাফ বিবেচনায় মূল বেতনের বাইরে অতিরিক্ত ভাতা ও পেনশনের সঙ্গে অতিরিক্ত ৭৫ শতাংশ বেশি টাকা ব্রিটিশ আমল থেকে পেয়ে আসছেন রানিং স্টাফরা। কারণ চলতি ট্রেনের কর্মীদের ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ফিরে আসা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ৮ ঘণ্টার কয়েকগুন বেশি ডিউটি করতে হয়। এছাড়া রানিং স্টাফদের সাপ্তাহিক ছুটিও নেই। এসব বিবেচনায় দীর্ঘদিন থেকে পেয়ে আসা এই সুবিধা ২০২১ সালে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। এরপর থেকেই আর্থিক সুবিধা বহালের দাবিতে আন্দোলন করছেন রেলের রানিং স্টাফরা। এর আগেও ওভার টাইম ডিউটি না করা, রেলভবন ঘেরাওসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।